ছেলেধরা গুজব রটানো হচ্ছে। একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। তারপর সন্দেহের বশে একজনকে পিটিয়ে মেরে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। অথবা মেরে আধমরা করে দিচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রেই যাঁদের সন্দেহের বশে পেটানো হচ্ছে তাঁরা নির্দোষ। গোটা দেশজুড়ে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগেই এক আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। আবার এমন ঘটনা ঘটল। এবার স্থান মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলি জেলার বাগদাদ গ্রাম। অভিযোগ গত শনিবার সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে। গত রবিবার সন্ধ্যায় কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবতীর দেহ।
জানা গেছে, গত শনিবার ছেলেধরা সন্দেহে প্রথমে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীনতার শিকার ওই যুবতী ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি। তারপরই শুরু হয় মার। পর দিন তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শরীরে মারের সঙ্গে সঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও পেয়েছে পুলিশ। বছর ৩০-এর ওই মহিলাকে কেন গ্রামবাসীদের পাশবিক অত্যাচারের শিকার হতে হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১২ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি।