বিজেপি নেতারা সত্যিই রাহুল গান্ধীর জড়িয়ে ধরাকে ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁরা বিবাহিত। তাঁদের আশঙ্কা স্ত্রীয়েরা তাঁদের এজন্য ডিভোর্স পর্যন্ত দিতে পারেন। যা তাঁরা একদম চাননা। অথবা তাঁদের চালচলন নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারেন। এজন্য সত্যিই তাঁরা ভীত। রাহুল গান্ধী নিজে বিয়ে করলেই তিনি বুঝতে পারবেন কেন বিজেপি নেতারা তাঁর সঙ্গে আলিঙ্গন করতে চাইছেন না। তবে তিনি যদি বিয়ে করে নেন, তাহলে বিজেপি নেতাদের তাঁর সঙ্গে আলিঙ্গন করতে কোনও সমস্যা নেই। এমন বিদ্রূপার্থক মন্তব্য করে দেশ জুড়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেইসঙ্গে তিনি ৩৭৭ ধারার প্রসঙ্গও টেনে রাহুল গান্ধীকে খোঁচা মারার চেষ্টা করেন।
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাপর্বে রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তব্য শেষ করে আচমকাই হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসনের সামনে। তারপর জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রীকে। একে রাজনৈতিক সৌজন্য হিসাবেই দেখানোর চেষ্টা করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও একে রাজনৈতিক সৌজন্য বলেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ওদিনই বক্তব্য রাখতে উঠে রাহুল গান্ধীর এই আলিঙ্গন নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকে বিজেপি নেতারা বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
এ নিয়ে আবার পাল্টা রাহুল গান্ধী একটি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার দাবি করেন তাঁকে দেখলেই এখন বিজেপি নেতারা ভয় পাচ্ছেন। দু পা পিছিয়ে যাচ্ছেন। যদি তিনি তাঁদের জড়িয়ে ধরেন! রাহুল গান্ধীর এই কটাক্ষের পরই পাল্টা এদিন রাহুল গান্ধীকে বিয়ে করে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন নিশিকান্ত দুবে। কেন তাঁরা পিছিয়ে যাচ্ছেন তা ব্যঙ্গের ছলে ব্যাখ্যা করে আদপে রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করলেন এই গেরুয়া শিবিরের নেতা।