গত শনিবার থেকেই ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল যমুনার জল। জল বাড়ার গতি ছিল বেশ দ্রুত। ফলে রাতের মধ্যেই দিল্লির নিচু এলাকায় জল ঢোকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তৈরি ছিল প্রশাসনও। রাতের মধ্যেই অনেক নিচু জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করে। আশঙ্কা আঁচ করে শনিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছিল নিচু ও যমুনা তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানোর কাজ। সেই কাজ রবিবারও বজায় ছিল। ইতিমধ্যেই ১ হাজারের ওপর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন। সাড়ে সাতশো অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছে। যেখানে আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন বন্যার্তরা।
এদিকে ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে যমুনা। যমুনার জলের দিকে নজর রেখেছে আপ প্রশাসন। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া নিজে পুরো অবস্থার দিকে নজর রেখেছেন। তদারকি করছেন উদ্ধারকাজের। যেসব মানুষ এখনও যমুনা তীরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে উঠে যেতে অনুরোধ করেছেন তিনি। হরিয়ানার হাথনিকুন্দ ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় যমুনার জলস্তর আরও দ্রুত বেড়ে চলেছে। ফলে দিল্লিতে বন্যার সম্ভাবনা জোড়াল হয়েছে।