স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত অমিত চৌহানের। ২ সন্তানের পিতা বছর ২৭-এর এই যুবকের সঙ্গে শুধু তাঁর স্ত্রী বলেই নয়, পাড়া প্রতিবেশিরও ঝগড়া হত প্রায়ই। অমিতের স্বভাবের জন্য তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের অন্যরা। গত সোমবার অমিতের সঙ্গে ফের তাঁর স্ত্রীর প্রবল ঝগড়া হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, তারপরই সন্ধে ৭টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী ২ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। এতে আরও রেগে যান অমিত।
স্ত্রী বাড়ি ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি অমিত চৌহান ফেসবুকে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান তিনি লাইভে আত্মহত্যা করবেন। তাঁরা যেন অন্যদেরও বিষয়টা জানিয়ে দেন। এর কিছু পরে সত্যিই অমিত লাইভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ছবি প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষও করেন। কিন্তু কেউ পুলিশে খবর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ না করায় হতবাক পুলিশ।
এদিকে ঘটনার কথা পরে জানতে পেরে পুলিশ যখন গুরুগ্রামের কাছে হেইলি মান্ডি এলাকায় পৌঁছয় ততক্ষণে অমিতের পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা অমিতের শবদাহ সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। ফলে পুলিশ অমিত চৌহানের দেহ পায়নি। কেন আত্মহত্যার ঘটনা পুলিশকে না জানিয়ে এভাবে তাড়াতাড়ি শবদাহ করে দেওয়া হল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অমিত চৌহানের ফোনও ঘেঁটে দেখছেন তদন্তকারীরা।