নয়াদিল্লিতে কেরালা ভবনে তখন খোদ উপস্থিত রয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। নিজের ঘরে রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ঠিক তখনই শনিবার সকালে তাঁর ঘরের কাছে পৌঁছে যায় এক ব্যক্তি। তার হাতে ছুরি ছিল। ছিল এক গোছা কাগজ। আর বুক পকেটে রাখা ছিল ভারতের একটি পতাকা। চোখে পড়তেই তাকে আটকান নিরাপত্তারক্ষীরা। হাতে ছুরি থাকলেও সে বলতে থাকে সে কাউকে কিছু করবে না। তার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও কিছু চাওয়ার নেই। কাগজপত্র দেখিয়ে সে কিছু বলারও চেষ্টা করে। এদিকে তার হাতে ছুরি থাকায় নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে তার কথা শুনলেও পরে সন্তর্পণে তাকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন। তারপর তাকে পিছমোড়া করে ঘাসজমিতে ফেলে তার হাত বেঁধে দেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ছুরি হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের কাছে পৌঁছনোর সঠিক উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন।
প্রশ্ন উঠছে কেরালা ভবনে যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত, তখন সেখানে কীভাবে একজন হাতে ছুরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের কাছাকাছি পৌঁছে গেল? একে নিরাপত্তার গাফিলতি হিসাবেই দেখছেন অনেকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।