প্রবল বৃষ্টি চলছে কেরালায়। ফলে দৃশ্যমানতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার ওপর অনেক জায়গাই প্লাবিত। জল ঢুকছে বিমানবন্দরেও। এই অবস্থায় কোচি বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা রীতিমত দুরূহ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুয়েতের একটি যাত্রীবাহী বিমান রানওয়েতে দুর্ঘটনা কবলে পড়তে পড়তে বেঁচেছে। এই অবস্থায় আর কোচি বিমানবন্দর খোলা রাখার ঝুঁকি নিল না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হল বিমানবন্দর।
কেরালায় একেই প্রবল বৃষ্টিতে পরিস্থিতি রীতিমত শোচনীয়। রাজ্যের প্রায় সব জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। নাগাড়ে বৃষ্টি আর জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। প্রায় গোটা রাজ্যটাই প্লাবনের গ্রাসে চলে গেছে। রেল পরিষেবা বিঘ্নিত। অনেক জায়গায় সড়ক বলে কিছু নেই। সেনা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তারপরও মৃতের সংখ্যা ৬৭ ছাড়িয়েছে।
এই অবস্থায় কপালের ভাঁজ আরও পুরু করল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আরও ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে কেরালায়। ফলে রাজ্যের ১৪টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে সব জলাধারের জলই বিপদসীমায় পৌঁছবে। ফলে ফের সব জলাধার থেকে একসঙ্গে জল ছাড়তে হবে। যা কেরালার শোচনীয় পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তুলতে পারে। এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সকলকে শান্ত থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ইতিমধ্যেই কেরালার ২৩ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন। চরম আকার নিচ্ছে পানীয় জলের সমস্যা।