National

মৃত্যু বাড়ছে, অবস্থা ভয়াবহ, তার মাঝেই রোদের রেখা

শনিবার সকালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে হেলিকপ্টার উড়তে দ্বিধায় ছিল। প্রবল বৃষ্টির কারণে ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য বৃষ্টি থামতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আকাশে ওড়ে হেলিকপ্টার। ঘুরিয়ে দেখানো হয় কোচি ও কোচি সংলগ্ন এলাকার বন্যা দুর্দশা। কেরালার জন্য শুধু দেশ নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জও উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকেও গোটা অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

মধ্য ও উত্তর কেরালার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ বলে ব্যাখ্যা করা হলেও কার্যত গোটা কেরালাই জলের তলায়। রাস্তা হারিয়ে গেছে। ট্রেন চলাচল প্রায় স্তব্ধ। বিমান ওঠানামা ব্যাহত। ৩ লক্ষের ওপর মানুষ গৃহহীন। তাঁদের প্রায় ২০ হাজার ত্রাণ শিবিরে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানেও সব জায়গায় শান্তি নেই। ত্রাণ শিবিরেও জল ঢুকছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফোন পাওয়া কঠিন হচ্ছে। পানীয় জলের অভাব চরম আকার নিচ্ছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।


ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে আকাশপথে উদ্ধার করা হয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে বহু এলাকায় ঢোকাই যাচ্ছেনা। বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া এবং প্রবল বৃষ্টির কারণে জলস্রোত প্রবল আকারে বইছে অনেক জায়গায়। সেই জলের তোড়ে পড়লে বাঁচার আশা কম। এরমধ্যে পাহাড়ি এলাকাগুলোয় ধস নেমেই চলেছে। সবদিক থেকে অবস্থা ভয়ংকর।

অন্ধকারে আশার ক্ষীণ কিরণের মত শনিবার বেলার দিকে কিছু জায়গায় রোদের দেখা মিলেছে। বৃষ্টিও কম। ফলে খুব ধীরে হলেও জলস্তর নামা শুরু করেছে। যদিও হাওয়া অফিসে এখনও ২ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে এখনই রেহাই মেলার সম্ভাবনা কম। জলও ঠিক কবে নামবে, কবে অবস্থা স্বাভাবিক হবে, জল নামার পর ধ্বংসের কী ছবি দেখা যাবে তা এখনও কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। ফলে কেরালা কবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে তা এখনও বলার সময় আসেনি বলেই মনে করছেন অনেকে।


(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – নরেন্দ্র মোদী)

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button