বাড়ির কর্তার দেহ ঝুলছে সিলিং ফ্যান থেকে। তাঁর স্ত্রীর দেহ রাখা ফ্রিজের মধ্যে। ১ মেয়ের দেহ পাওয়া গেছে সুটকেস থেকে। ১ মেয়ের দেহ মিলেছে বাড়ির আলমারি থেকে। আর সবচেয়ে ছোট মেয়ের দেহ মিলেছে পাশের ঘর থেকে। বন্ধ দরজা ভেঙে পুলিশকে দেহগুলি উদ্ধার করতে হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান কুশওয়াহা পরিবারের গৃহকর্তা মনোজ কুশওয়াহাই তাঁর স্ত্রী ও ৩ কন্যাকে হত্যা করে তারপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে আত্মঘাতী হন। বাড়ি যেভাবে ভিতর থেকে বন্ধ ছিল তাতে বাইরে থেকে কেউ এসে খুন করে চলে যাওয়া মুশকিল বলেই মনে করছে পুলিশ।
একই পরিবারের ৫ জনের দেহ এমন অদ্ভুত অবস্থায় পাওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গত সোমবার দেহগুলি উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের ধূমাগঞ্জ এলাকার একটি বাড়ি থেকে। কয়েকদিন ধরেই কুশওয়াহা পরিবারের কোনও সদস্যকে বাড়ি থেকে বার হতে না দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। প্রথমে ঝুলন্ত অবস্থায় মনোজ কুশওয়াহাকে দেখতে পান পুলিশ আধিকারিকরা। পরে বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজে বাকিদের দেহ ফ্রিজ, আলমারি, সুটকেস থেকে উদ্ধার হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন মনোজ কুশওয়াহা। এ নিয়ে নাকি তাঁদের মধ্যে কয়েকবার অশান্তিও হয়েছে। পুলিশের অনুমান এই কারণেও সকলকে হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারেন মনোজ। তবে বাইরে থেকে কেউ খুন করে গেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।