ভুবনেশ্বরের সাম হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল ওড়িশা সরকার। এদিন সকালে হাসপাতালটি পরিদর্শনে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। সরকার তদন্ত করবে বলে জানান তিনি। এদিকে এদিন সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোনে তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে যে ১০৬ জন রোগীকে সোমবার রাতে রাতে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে শহরের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার সাম হাসপাতাল বহন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিল্লির এইমসে তাঁদের চিকিৎসা হবে। এজন্য রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য নিখরচায় উড়ানের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এদিন হাসপাতালে নোটিস টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার হলে সাম হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়রা যেন ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করেন।
এদিকে যে ২০ জন রোগী সোমবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও তাঁদের তরফে গাফিলতি রয়েছে একথা মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের ৪ জন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে তারা। কেন এখনও এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য কোনও এফআইআর দায়ের হল না, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।