২০০৭ সালের ২৫ অগাস্ট হায়দরাবাদের জোড়া বিস্ফোরণ কেড়ে নিয়েছিল ৪৪টি প্রাণ। আহত হয়েছিলেন ৬৮ জন। ক্ষতি হয়েছিল সম্পত্তির। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় হায়দরাবাদের প্রসিদ্ধ খাওয়ার জায়গা গোকুল চাটের সামনে। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় মৃত্যু হয় ৩২ জনের। এর কিছু দূরে হয় পরবর্তী বিস্ফোরণ। লুম্বিনী পার্কের ওপেন এয়ার থিয়েটারের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ১২ জনের। খানাতল্লাশিতে নেমে প্রায় ১৯টি না ফাটা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সন্ত্রাসবাদী হামলার তদন্তে নেমে শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। অবশেষে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরা সকলেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য বলে জানতে পারে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। সেই মামলায় এদিন ৫ জনের মধ্যে ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১ জনের বিষয়ে আগামী সোমবার রায় দেবে আদালত। এছাড়াও পুলিশ ২ জনকে অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে। তারা ২ জনই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম সদস্য। কিন্তু তাদের এখনও নাগাল পায়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নামপল্লি আদালত চত্বরে ছিল প্রচুর পুলিশি বন্দোবস্ত। যদিও পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এদিন অভিযুক্তদের আদালতে আনার ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। বোমা রাখার জন্য অনীক শফিক সঈদ ও মহম্মদ আকবর ইসমাইল চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ফারুক সরফুদ্দিন তারকশ ও মহম্মদ সাদিক ইসরার আহমেদ শেখকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিয়েছে আদালত। এদিকে বিস্ফোরণের পর দোষীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তারিক অঞ্জুমের সম্বন্ধে রায় আগামী সোমবার শোনাবে আদালত। ওদিনই দোষীদের শাস্তিও ঘোষণা করবেন বিচারক।