তামিলনাড়ুতে ২০১৩ সাল থেকে গুটখা ও পান মশলা বিক্রি বন্ধ। কিন্তু বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছিলেন খাতায় কলমে গুটখা বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও তা লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি চলছিল। আর তা নাকি চলছিল খোদ পুলিশের মদতে। ২০১৬ সালে চিবিয়ে খাওয়ার মত তামাকজাত দ্রব্যের একটি কারখানায় আয়কর হানা হয়। তখন থেকেই গুটখা দুর্নীতি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। কারখানার মালিক মাধব রাওয়ের বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে কিছু নাম সাঙ্কেতিক আকারে লেখা ছিল। বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হলেও গত এপ্রিল মাসে এক ডিএমকে নেতার জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে গুটখা দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
সেই তদন্তে বুধবার সকাল ৭টা থেকে চেন্নাইয়ের ৪০টির ওপর জায়গায় একসঙ্গে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। যারমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয় ভাস্কর, ডিজি সিকে রাজেন্দ্রন, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার এস জর্জের বাড়িও ছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডিজি-র মত ভিভিআইপিদের বাড়িতে সিবিআই হানাকে কেন্দ্র করে গোটা চেন্নাই জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে একদিকে যেমন বেকায়দায় পড়েছে ক্ষমতাসীন এডিএমকে সরকার। তেমনই নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ের অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধী ডিএমকে।