পেট্রোপণ্য ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা ভারত বন্ধকে সমর্থন করার জন্য অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের ২২টি দল বন্ধের সমর্থনে পাশে দাঁড়াল। ব্যতিক্রম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তৃণমূল বন্ধকে সমর্থন না করলেও ইস্যুকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল বার করে।
এদিন কংগ্রেসের ডাকা ভারত বন্ধের কিন্তু মিশ্র প্রভাব দেখা গেছে। বিজেপি শাসিত এলাকাগুলিতে বন্ধের প্রভাব না থাকলেও মুম্বই, পুনে সহ মহারাষ্ট্রের অনেক জায়গায় এদিন বন্ধ পালিত হয়েছে। কেরালায় বামেদের প্রভাবে বন্ধ হয়েছে। বিহারেও বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অনেক জায়গায় রেল অবরোধ হয় এদিন। পাটনায় বন্ধের সমর্থনে ভাঙচুরের খবরও এসেছে। বন্ধের ভাল প্রভাব দেখা গেছে কর্ণাটকেও।
এছাড়া গুজরাটের বারুচে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ হয়। মহারাষ্ট্রে নবনির্মাণ সেনা বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নামে। পুনেতে অনেক জায়গায় সকালে দোকানপাট খুললেও পরে তা বন্ধ করিয়ে দেন বন্ধের সমর্থনকারীরা। মুম্বইতে ট্রেন অবরোধ হয়। ভাঙচুর হয় বেস্টের বাসে। ট্রেন অবরোধের খবর মিলেছে অসম থেকেও। সেখানেও বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন অবরোধ করে কংগ্রেস।
ত্রিপুরায় বামেদের শাসনে ইতি টেনে সেখানে সরকার গড়েছে বিজেপি। কিন্তু এদিন সেই ত্রিপুরায় বন্ধের প্রভাব পড়ল মারাত্মক। অনেক জায়গায় দোকানপাট রইল বন্ধ। বাস তেমন একটা রাস্তায় নামেনি। মানুষজনও এদিন রাস্তায় কমই বেরিয়েছেন। উল্টো ছবিও ধরা পড়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানায় কংগ্রেসের দাপট থাকলেও সেখানে কিন্তু বন্ধের তেমন প্রভাব চোখে পড়েনি। কংগ্রেস শাসিত মিজোরামেও বন্ধের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। ওড়িশাতেও কংগ্রেস বেশ কিছু জায়গায় রেল অবরোধ ও পথ অবরোধ করে।
(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @arati.deo.564)