মেয়ের বয়স এখন ২০। প্রাপ্তবয়স্কা। তিনি চাইলে যে কারও সঙ্গে ঘর বাঁধতে পারেন। সেই মেয়ে মাধবী চারি ভালবাসতেন বি সন্দীপ নামে এক যুবককে। যুবক আবার তথাকথিত নিচু জাতের বলে মাধবীর বাবা মনোহর চারির বিয়েতে মত ছিলনা। কিন্তু কিশোর বয়সের প্রেম কিছুদিন আগে বাড়ির প্রবল অমতেও রূপ পায় বিবাহবন্ধনের। মন্দিরে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হন মাধবী ও সন্দীপ। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি বাবা মনোহর।
সূত্রের খবর, গত বুধবার বিকেলে পেশায় সোনার দোকানের কর্মচারি মনোহর চারি ফোন করে তার মেয়েকে। তাঁদের একবার দেখা করার অনুরোধ করে। মেয়ে জামাইকে মেনে নেওয়ার ইঙ্গিতও দেয় সে। বাবা তাঁদের বিয়ে মেনে নিতে চলেছে। সেই আনন্দে আর সময় নষ্ট না করে গোকুল থিয়েটারের কাছে বাবার বলা জায়গায় স্বামী সন্দীপকে নিয়ে হাজির হন মাধবী।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয় মনোহর চারি। তারপর ব্যস্তসমস্ত এলাকায় ব্যাগের মধ্যে থেকে একটি কাটারি বার করে ঝাঁপিয়ে পড়ে জামাইয়ের ওপর। স্বামীকে বাঁচাতে বাবাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন মাধবী। এবার সন্দীপকে ছেড়ে মেয়ে মাধবীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে মনোহর। রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে থাকেন স্বামীস্ত্রী। এরপর এলাকা ছেড়ে চলে যায় মনোহর।
দ্রুত মাধবী ও সন্দীপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাধবীর হাতে, গলায় কোপ পড়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সন্দীপও গুরুতর আহত। পুলিশ তদন্তে নেমে ভগ্নীপতির বাড়িতে লুকিয়ে থাকা মনোহরকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর হতবাক গোটা দেশ।