স্বামী ছিলেন অতিরিক্ত জেলা বিচারক। ২০১৪ সালে অবসর নেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর শরীর ভাল যাচ্ছিলনা। গত শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে কিছু না জানিয়েই বেরিয়ে যান। বাড়িতে রেখে যান একটি সুইসাইড নোট। যাতে লেখা ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এর কিছু পরে মন্দির শহর হিসাবে পরিচিত তিরুপতির কাছেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৬২ বছরের পি সুধাকর। দেহ উদ্ধারের পর প্রাক্তন বিচারকের বাড়িতে সেই খবর পৌঁছয়। পুলিশ তদন্তে নেমে সুইসাইড নোটটিও উদ্ধার করে। গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এরপর বিকেলে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই বেরিয়ে যান পি সুধাকরের স্ত্রী ৫৬ বছরের পি ভারালক্ষ্মী।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি হাজির হন তাঁর স্বামী যেখানে সকালে আত্মহত্যা করেছিলেন সেই জায়গায়। তারপর চলন্ত ট্রেনের সামনে একইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সন্ধেয় তাঁর দেহ একই জায়গা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শরীর ভাল যাচ্ছিলনা পি সুধাকরের। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আর স্বামীর এমন আচমকা মৃত্যুর ধাক্কা মন থেকে মেনে নিতে না পেরেই ওই একই জায়গায় গিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)