রাজস্থানের কোটা থেকে ভাগ্যান্বেষণে স্বপ্ন নগরী মুম্বইতে চলে এসেছিলেন ২০ বছরের মানসী দীক্ষিত। মডেলিংয়ে কিঞ্চিত নামডাক হওয়ার সুবাদে বলিউডে পা রাখার বাসনা নিয়ে মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই চালাচ্ছিলেন মানসী। এই স্ট্রাগলের সময়ে তাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় হায়দরাবাদের বাসিন্দা মুজাম্মিল সইদের। সেই সূত্রেই গত সোমবার রাতে সইদের মালাডের ফ্ল্যাটে যান মানসী। পরে তাঁর দেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় মালাড পশ্চিমের একটি জনহীন ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ভরা জায়গা থেকে। সেখানে একটি ঝোপের মধ্যে ব্যাগটি পড়েছিল। ব্যাগের মধ্যে থেকে মানসীর হাত-পা বাঁধা দেহটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, যে ক্যাবে সইদ দেহটি নিয়ে গিয়ে ফেলে আসে, সেই ক্যাব চালকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তার ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই মুজাম্মিল সইদ নামে ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। আদালতে পেশ করা হলে তাকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশি জেরার মুখে মুজাম্মিল স্বীকার করেছে ওই রাতে মানসীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু মানসী কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। মানসী একেবারেই রাজি না থাকায় সে মানসীকে হত্যা করে। পুলিশ জানাচ্ছে, একটি দড়ি গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় মানসীকে। পরে তার দেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে বড় ব্যাগে পুরে মুজাম্মিল ফেলে আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)