রাতের অন্ধকারে তারা জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই টের পান কারারক্ষী রমাশঙ্কর যাদব। রুখেও দাঁড়ান। কিন্তু তাঁকে গলা কেটে খুন ৮ কয়েদি পৌঁছে যায় ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের আপাত দুর্ভেদ্য পাঁচিলের ধার। তারপর বিছানার বেডশিট পাকিয়ে দড়ি বানিয়ে টপকে যায় পাঁচিল। রাত ২টো নাগাদ জেল থেকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত ৮ সিমি জঙ্গি মহম্মদ আকিল ওরফে খিলজি, মহম্মদ সালিক ওরফে সল্লু, জাকির হুসেন ওরফে সাদিক, খালিদ আহমেদ, মেহবুব মালিক, আবদুল মাজিদ, মুজিব শেখ ও আমজাদ খান পালানোর পরই খবর যায় পুলিশ ও এটিএসের কাছে। শুরু হয় তন্নতন্ন করে খোঁজ।
এভাবে আশপাশের এলাকা জুড়ে খানা তল্লাশি ও সড়কপথে নাকাবন্দির মাঝেই তাদের কাছে খবর আসে আচারপুরা গ্রামে ডাকাত পড়েছে। আচারপুরা গ্রামটি সেন্ট্রাল জেল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে রাতের অন্ধকারে ওই ৮ জঙ্গিকে দেখে গ্রামবাসীরা ভুল করে ভেবে বসেন তাঁদের গ্রামে ডাকাত পরেছে। ডাকাত রুখতে তাঁরা জঙ্গিদের লক্ষ করে পাথরও ছুঁড়তে শুরু করেন। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ আন্দাজ পেয়ে দ্রুত গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা পাল্টা তাদের দিকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। জবাবে গুলি চালায় পুলিশ ও এটিএস। শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রায় ১ ঘণ্টা এভাবে চলার পর পুলিশের গুলিতে ৮ সিমি জঙ্গিই প্রাণ হারায়। এদিকে কড়া প্রহরা থাকা সত্ত্বেও এক প্রহরীকে হত্যা করে কীভাবে এই ৮ জঙ্গি জেল থেকে পালানোর সুযোগ পেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলের সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।