স্ত্রী রেশমার সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এমন সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল বছর ২২-এর যুবক কামিলের। দিল্লির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিওনের কাজে কর্মরত কামিলের ধারণা ছিল, সে কাজে গেলে স্ত্রী রেশমা অন্য কারও সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা লেগে থাকত। কামিলের দাবি, সেই ঝগড়ার পরিণতিতে সে মাথা গরম করে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। গত শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে হত্যা করার পর সে রেশমার দেহ একটি চাটাইয়ের ওপর শুইয়ে দেয়। তারপর তার সামনে বসে পড়ে। কোলে ছিল তাদের ২ বছরের মেয়েও। ওভাবেই প্রায় একটা গোটা দিন কাটিয়ে দেয় সে।
পরদিন রাত ২টো নাগাদ সে উঠে পড়ে সোজা হাজির হয় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে। নিজের অপরাধের কথা কবুল করে। রাত ২টোর সময় এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে খুন করেছে বলে দাবি করে একবারের জন্য তার বাড়ি যেতে বলছে, এমন কথায় প্রথমে পুলিশ মনে করেছিল লোকটি নেহাতই পাগল। অথবা নেশা করে এমন বলছে। কিন্তু কামিল অনেক করে পুলিশকে অনুরোধ করার পর অবশেষে পুলিশ তার বাড়ি যেতে রাজি হয়।
সেখানে গিয়ে তারা কামিলের স্বীকারোক্তিমতই চাটাইয়ের ওপর একটি দেহ পায়। বছর ২২-এর ওই তরুণী গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। কামিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির কমলা মার্কেট এলাকায়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)