ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র এক আধিকারিককে এদিন নির্মমভাবে হত্যা করল ২ দুষ্কৃতি। মহম্মদ তাঞ্জিল নামে বছর ৪৫-এর ওই আধিকারিকের দেহ বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের সাহসপুর গ্রামের বাসিন্দা তাঞ্জিল তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বার হন। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা দূরে সোহরা গ্রামে। অনুষ্ঠান সেরে তাঁরা রাত ১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কিছুটা দূরে তাঁদের গাড়িটিকে হাত দেখায় দুই বাইক আরোহী। গাড়ি থামান তাঞ্জিল। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে দুই যুবক। গাড়িতে তাঞ্জিলের পাশে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। গুলি তাঁর গায়েও লাগে। পিছনের সিটে থাকায় তাঁর দুই মেয়ে রক্ষা পেয়েছে। গুলি চালিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুই বাইক আরোহী।
গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর যায় বিজনৌর পুলিশের কাছে। পুলিশ তাদের প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। দু’জনের অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাঁদের মোরাদাবাদে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মোরাদাবাদে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঞ্জিলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসার জন্য তাঞ্জিলের স্ত্রীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নয়ডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অসমর্থিত সূত্রের খবর মহম্মদ তাঞ্জিল পাঠানকোট ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা আইএম সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কেসের তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে যেভাবে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক খুন করা হল তা দেখে এটি কোনও জঙ্গি সংগঠনের কাজ হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।