সেসময়ে তিনি এশিয়ান এজ পত্রিকায় কাজ করেন। দিল্লি থেকে তাঁকে কাজে পাঠানো হয়েছিল। একটি স্টোরি করার পর পত্রিকার সম্পাদক এম জে আকবর তাঁকে ফোনে জানান স্টোরিটি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি যেন জয়পুরে আকবরের হোটেলের ঘরে আসেন। তিনি হাজির হন হোটেলের ঘরে। ঘরে পৌঁছনোর পর আকবর তাঁর পোশাক জোর করে খুলে নেন। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করেন। তিনি আপ্রাণ আটকানোর চেষ্টা করলেও আকবরের কায়িক শক্তির সঙ্গে পেরে ওঠেননি। এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে যাওয়ার বদলে তিনি লজ্জায় মিশে যান। এই ঘটনার পর দূরে স্টোরি করতে পাঠিয়ে সেখানে গিয়ে তাঁর ওপর নানাভাবে শারীরিক ও যৌন অত্যাচার চালাতেন আকবর। ২৩ বছর আগের সেই স্মৃতি তাঁর জীবনের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায়। ওয়াশিংটন পোস্টে একটি আর্টিকেলে এভাবেই এম জে আকবরের বিরুদ্ধে খোলাখুলি মুখ খুললেন বর্তমানে ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও-র চিফ বিজনেস এডিটর এক ভারতীয় মহিলা সাংবাদিক।
একের পর এক মহিলা সাংবাদিক তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর আপাতত নিজের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হয়েছে এক সময়ের বিখ্যাত সাংবাদিক এম জে আকবরকে। তবে সাংসদ পদ বা বিজেপির সদস্য পদ এখনও অটুট আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মহিলা সাংবাদিকই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। হ্যাশট্যাগ মি টু-র স্রোতে অনেক মহিলা সাংবাদিক একের পর এক নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। সেই তালিকায় নতুন সহযোজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত এই মহিলা সাংবাদিক। যদিও ওই মহিলার ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তাঁর মক্কেল বলে জানিয়েছে এম জে আকবরের আইনজীবী। শুক্রবার আকবর দাবি করেন, ওই মহিলা সাংবাদিক যা বলছেন তা মিথ্যা। যা হয়েছিল তা তাঁদের পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে তৈরি সম্পর্ক ছিল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)