অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী রামকিষাণ গ্রেওয়ালের শেষকৃত্যে এদিন চাঁদের হাট বসল হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বামলা গ্রামে। সকাল থেকেই এখানে ভিড় জমাতে থাকেন বিভিন্ন দলের নেতারা। ফলে সুরক্ষা বন্দোবস্তও ছিল আঁটসাঁট। পরে রামকিষাণের বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে শ্মশানেও যান নেতারা। বুধবার রামকিষাণের শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। একই কারণে আটক করা হয় দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকেও। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভে উত্তাল হয় দিল্লি। ৭০ বছরের রামকিষাণ গ্রেওয়াল মঙ্গলবার দিল্লিতে আসেন এক পদ এক পেনশনের দাবিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তারপরই তিনি আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখে যান, তাঁর মত বহু অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর দাবিকে সামনে রেখেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
এরপর বুধবার এক পদ এক পেনশনের দাবিতে এক প্রাক্তন ভারতীয় সেনার আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ে কংগ্রেস, আপ। পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল, সপা। তবে বুধবার রাহুলকে রামকিষাণের পরিবারের ধারে কাছে ঘেঁষতে না দিলেও এদিন সেই ভুল করেনি পুলিশ। রাহুল গান্ধী এদিন পুরো সময়টাই ছিলেন বামলা গ্রামে গ্রেওয়াল পরিবারের পাশে। বেলার দিকে বামলায় হাজির হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। দিল্লি সরকারের তরফ থেকে গ্রেওয়াল পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেন তিনি। যদিও তার আগেই প্রবল সমালোচনার মুখে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে হরিয়ানার বিজেপি সরকার গ্রেওয়াল পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের ১ জনকে রাজ্য সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়েছে। এদিন রাহুল, অরবিন্দ ছাড়াও গ্রেওয়াল পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।