২ বছর হল বিয়ে হয়েছে যোগেশ আর নেহার। মাত্র ২০ দিন হল পৃথিবীর আলো দেখেছে তাঁদের প্রথম সন্তান। স্বামী-স্ত্রীর আনন্দের শেষ নেই। গত সোমবার শিশুপুত্র সানিকে কোলে শুইয়ে স্তন্যপান করাচ্ছেন মা নেহা। রাত তখন আটটা। আচমকাই সেখানে হাজির হয় এক বাঁদর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সানিকে নেহার কোল থেকে তুলে নিয়ে যায় সে। গিয়ে বসে উঁচু একটা পাঁচিলে। সকলে দেখেন বাঁদরটা সানিকে চেপে ধরে আছে। আর সানি ঝুলছে। তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে নিচে আনার চেষ্টা শুরু করেন পড়শিরা। কিন্তু তাতে ভোলার নয় ওই বাঁদর। সে তখন পাঁচিল ছেড়ে লাফ দিয়ে হাজির হয় একটি বাড়ির ছাদে। পড়শিরা তার কাছে এগোতেই সে সদ্যোজাতর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেয়। তারপর শুরু করে তার নরম শরীরটা আঁচড়ানো। আঁচড়ে আঁচড়ে রক্তাক্ত করে সানিকে ফেলে রেখে এরপর সেখান থেকে চম্পট দেয় সে।
দ্রুত রক্তাক্ত অবস্থায় ওই সদ্যোজাতকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোলের শিশুকে হারিয়ে মা নেহা মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। শোকস্তব্ধ গোটা এলাকাও। ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার কাছাড়া এলাকায়। খতিয়ান বলছে শেষ ১০ বছরে আগ্রা জুড়ে ভয়ংকরভাবে বাঁদরের উৎপাত বেড়েছে। বাড়তে বাড়তে তাদের সংখ্যা এখন ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আগ্রা শহর তো বটেই, এমনকি আশপাশের এলাকাতেও হানা দিচ্ছে এই বাঁদররা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের আক্রমণে আহত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)