গত কয়েকদিন ধরেই সাইক্লোন ‘গাজা’ বঙ্গোপসাগরের ওপর নিজের শক্তি বাড়াচ্ছিল। আবহবিদরা জানিয়ে দিয়েছিলেন শক্তিশালী সাইক্লোনের চেহারা নিয়ে গাজা ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তামিলনাড়ু উপকুলে। ফলে আগে থেকেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। প্রায় ৮২ হাজার মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে ৪৭০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার ভোরে তামিলনাড়ুর নাগাপাট্টিনম ও ভেদারানিয়ম-এর ওপর দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করে গাজা। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। স্থলভূমিতে প্রবেশের পরই শুরু হয় গাজার তাণ্ডব। তছনছ হয়ে যেতে থাকে একের পর এক এলাকা। অনেকটা সময় ধরে স্থলভূমিতে প্রবেশ করে গাজা।
গাজার প্রভাবে অসংখ্য কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উড়ে গেছে বহু চাল। উপড়ে পড়েছে অগুন্তি গাছ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন। তারওপর নাগাড় হচ্ছে বৃষ্টি। ফলে শোচনীয় পরিস্থিতি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। নাগাপাট্টিনম, পুডুকোট্টাই সহ ৬টি জেলার অবস্থা শোচনীয়। চারদিকে শুধুই ধ্বংসলীলার চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, গাজা স্থলভূমিতে প্রবেশের পর ক্রমশ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। কমতে থাকবে তার শক্তি। এরপর গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়ে প্রবল বৃষ্টি হবে বিভিন্ন এলাকায়। তবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কমে যাবে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)