মারা গেছেন কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে মৎস্যজীবীরা তাঁকে তিরবিদ্ধ অবস্থায় দেখেছেন। সমুদ্রতটে নামতেই তাঁকে তিরধনুক নিয়ে আক্রমণ করেন দক্ষিণ আন্দামানের সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসকারী আদিবাসীরা।
তিরবিদ্ধ অবস্থাতেই হাঁটছিলেন তিনি। মৎস্যজীবীরা দেখেন সেন্টিনেলিজ আদিবাসীরা ২৭ বছরের ওই মার্কিন যুবককে গলায় দড়ি জড়িয়ে টানতে টানতে সমুদ্রর ধারে এনে বালিতে অর্ধেক পুঁতে দিলেন।
এরপর আর সমুদ্রের ওপর থাকতেও ভরসা পাননি ৭ মৎস্যজীবী। ভয়ে ফিরে এসে সব খুলে বলেন জন অ্যালেন চাউ নামে ওই যুবকের পরিচিত অন্য এক মার্কিন নাগরিককে।
তাঁর কাছ থেকে খবর ঘুরে পৌঁছয় মার্কিন দূতাবাসে। দূতাবাসের থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ওই ৭ মৎস্যজীবীকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জন অ্যালেন চাউয়ের সেন্টিনেল অভিযান নিয়ে খবর পায়।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা গত ১৬ নভেম্বর যখন জনকে নিয়ে ওই দ্বীপের কাছে যান তখন তাঁদের ডিঙি নৌকা ছেড়ে একটি ছোট ক্যানোতে চেপে নিজেই সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে পৌঁছন জন। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পরই তাঁর ওপর আক্রমণ হয়।
আন্দামানের জারোয়াদের কথাই বেশি পরিচিত। কিন্তু আন্দামানে সেন্টিনেল এমন একটা দ্বীপ যেখানে ওই দ্বীপের আদিবাসীদের বাস। তাঁরা ওই দ্বীপের বাইরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ইচ্ছুক নন।
বাইরে থেকে মানুষ গেলে তাঁরা অরক্ষিত বোধ করেন। ফলে তিরধনুক নিয়ে হামলা চালান। ফলে সেখানে কেউই যাওয়ার চেষ্টা করেনা। কোনও প্রশাসনিক লোকজনও নয়।
সেন্টিনেলের আদিবাসীদের তাঁদের মত করেই থাকতে দেওয়া হয়। সেই দ্বীপে আচমকা এক বিদেশীর পদচারণা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। এদিকে হেলিকপ্টারে আকাশপথে খুঁজেও ওই মার্কিন পর্যটক যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা