দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক গত বৃহস্পতিবারই এসে হাজির হয়েছিলেন রাজধানী নয়াদিল্লিতে। রামলীলা ময়দানে রাত কাটান তাঁরা। শুক্রবার তাঁরা একসঙ্গে মিছিল করলেন দিল্লির রাজপথে। সংসদমুখী এই মিছিলের দাবি ছিল প্রধানত ২টি, কৃষকদের ঋণ মকুব এবং ফসলের ন্যায্য দাম। এদিন সংসদমুখী এই মিছিলের পার্লামেন্ট রোডেই পথ আটকে দেয় পুলিশ। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটির উদ্যোগে হওয়া কিষাণ মুক্তি মার্চ-এর নেতৃত্ব সকলকে জানিয়ে দেন পুলিশ তাঁদের পথ আটকেছে। ফলে কেউ আর এগোবেন না। সেখানেই কৃষক নেতারা তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
২ দিন ধরে কৃষকদের এই মিছিলে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। তেলেঙ্গানা থেকে কয়েকজন মহিলা যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে। তাঁদের স্বামীরা পেশায় কৃষক ছিলেন। যাঁরা ঋণের ভারে আত্মহননের পথে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের ছবি হাতে সেই স্বামীহারা মহিলারা এদিন পা মেলান। কেউ এসেছিলেন মৃত কৃষকদের মাথার খুলি হাতে করে। কেউ দিল্লির ঠান্ডায় খালি গায়ে এদিন পথ হাঁটেন। প্রতিবাদের নানা ভাষার মধ্যে দিয়েই এগোয় মিছিল।
এদিন কৃষকদের এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, যদি নরেন্দ্র মোদী দেশের ১৫ জন ধনীর হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করে থাকতে পারেন, তবে কেন কৃষকদের ঋণ মকুব করবেন না। এদিন রাহুল গান্ধী ছাড়াও বিরোধী ২১টি দলের সদস্যরা সভায় হাজির ছিলেন। ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ আরও অনেকে।