মা দিল্লির তিস হাজারি আদালতের আইনজীবী। যখন কোর্টে বার হচ্ছিলেন তখন বাড়িতে ১২ বছরের মেয়ে ডেইসি রাঠোর ঠিকই ছিল। বিকেল ৪টেয় যখন বাড়ি ফিরলেন তখন দেখলেন মেয়ের নিথর দেহ। ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল দেহ। মেয়ের হাতে লেখা ছিল তার বিজ্ঞানের শিক্ষকের নাম। এও লেখা ছিল ওই শিক্ষকের দিনের পর দিন অত্যাচারে অসহ্য হয়েই আত্মহত্যার চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ডেইসি তার হাতের তালুতে আরও লেখে যে সে আর আর স্কুলে যেতে চায়না। তাই সে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে চলল। মা ও ঠাকুমার কাছে এই পদক্ষেপের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে ডেইসি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা ডেইসির বন্ধু ও ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই আত্মহত্যার পিছনে লুকিয়ে থাকা সত্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যেই এই আত্মহত্যায় ওই কিশোরীকে প্ররোচিত করেছে তাকে ছাড়া হবে না।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)