বিজেপির রাজস্থানে পরাজয় নিশ্চিত। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। বাস্তবে হলও তাই। এদিন বেলা যত গড়িয়েছে ততই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আসন সংখ্যার দূরত্ব বেড়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরেই এটা পরিস্কার হচ্ছিলনা কংগ্রেস আদৌ ১০০ আসনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁতে পারবে কিনা। দুপুর যত গড়িয়েছে ততই সে ছবি পরিস্কার হয়েছে। কংগ্রেস টপকেছে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের ম্যাজিক ফিগার। তবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর তার সঙ্গে বড় একটা আসন যোগ করতে সমর্থ হয়নি কংগ্রেস। তাতে কী? রাজস্থানে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকার সুবাদে কোনও দলকে ভরসা না করেই সরকার গড়তে পারছে তারা।
রাজস্থানে আসন সংখ্যা ১৯৯টি। ম্যাজিক ফিগার ১০০। এদিন দুপুর পর্যন্তও সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি কংগ্রেস। ধারে কাছে ঘুরছিল। তবে টঙ্ক আসন থেকে জেতা কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট সংবাদমাধ্যমকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানান তাঁরাই সরকার গড়ছেন। অন্য দলগুলির সঙ্গেও কথা শুরু করেছেন। ফলে কংগ্রেস ২টো রাস্তাই খুলে রাখছিল। নিরঙ্কুশ হল তো ভাল। নয়তো অন্য দলগুলিকে পাশে টেনে সরকার গড়ার জন্য ঝাঁপাবে তারা।
রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অনেক দিন ধরেই জনমানসে জমাট বেঁধেছিল। সেইসঙ্গে বসুন্ধরা ও অমিত শাহের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকার খবরও চাপা ছিলনা। সরকারের কাজে ক্ষুব্ধ বেশ কিছু নেতা বেরিয়ে গিয়ে এবার বিক্ষুব্ধ বিজেপি হয়ে নির্দলের টিকিটে লড়েন। বেশ কিছু আসন তাঁদের দখলে গেছে। ফলে ঘরে বাইরে চাপে এবার রাজস্থানের রাজ্যপাট হারাতে হল বিজেপিকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানে বিজেপির দখলে ছিল ১৯৯টির মধ্যে ১৬৩টি আসন। কংগ্রেস মাত্র ২১টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার সেই ছবি গেল বদলে। বিজেপি এবার প্রায় ৯৪টি আসন হারিয়েছে। সেখানে কংগ্রেস গতবারের চেয়ে ৮২টি আসনে বেশি জিতেছে। কংগ্রেসের এই বালি ঝড়েই শেষ পর্যন্ত রাজস্থানে ধূলিসাৎ হয়ে গেল বিজেপি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)