২০১৯-এর আগে এটা ছিল সেমিফাইনাল। আর সেই সেমিফাইনালে কংগ্রেস ওস্তাদের মার দেখিয়ে দিল। মিজোরাম হারালেও তা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব বড় একটা চিন্তার জায়গায় নেই। কারণ মিজোরাম থেকে লোকসভায় আসন সংখ্যা ১টি। তুলনামূলকভাবে কিছুটা হলেও ধাক্কা তেলেঙ্গানা। তবে তেলেঙ্গানায় যে সেখানকার একেবারে আঞ্চলিক দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি শক্তিশালী তা নিয়ে দ্বিমত ছিলনা। ফলে সেখানে কংগ্রেস জিততে পারে একথা তারা হয়ত ভাবেনি। পড়ে রইল বাকি ৩টি রাজ্য রাজস্থান, ছত্তিসগড় ও মধ্যপ্রদেশ। আর এই ৩ রাজ্যে কংগ্রেসের দুরন্ত ফল এখানে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উৎসবের মেজাজ উপহার দিয়েছে।
যে রাজ্যে দল ভাল ফল করছে সেখানকার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ, হুল্লোড় স্বাভাবিক। কিন্তু এই ফল সারা ভারতের কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদেরই উজ্জীবিত করেছে। খোদ দিল্লিতে এদিন কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে হৈচৈ আনন্দে মেতে ওঠেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। চলে বাদ্যের তালে তালে নাচ। রাহুল গান্ধীর নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি। আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হয় এলাকা। সেই সঙ্গে ছিল মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে সকলকে দেদার মিষ্টিমুখ।
কংগ্রেস শিবির যখন আনন্দে আত্মহারা তখন ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়েছে বিজেপি দফতরগুলিতে। সর্বত্রই যেন হতাশা গ্রাস করেছে। পরপর ধাক্কায় যেন অনেকটাই বেসামাল গেরুয়া শিবির। এদিনের ধাক্কাই নয়, একের পর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের পদত্যাগ, শরিক দলের এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, শিবসেনার এনডিএ-তে থেকেও বিজেপি বিরোধী মন্তব্য, কংগ্রেসের ২০১৯-এর আগে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো, যত ২০১৯ এগোচ্ছে ততই যেন ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে বিজেপি। এতগুলো ধাক্কা একসঙ্গে এসে বিজেপি নেতা, কর্মী থেকে সমর্থকদের মনোবল কিছুটা হলেও ভেঙে দিচ্ছে বৈকি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)