মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ছিল ২৩০টি। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ছিল ১১৬। কিন্তু সেই অঙ্ক ছুঁতে পারলনা কেউই। মঙ্গলবার দিনভর যদি বিস্ফারিত চোখে সকলে কোনও একটি রাজ্যের ফলের দিকে চেয়ে থেকেছেন তবে তা মধ্যপ্রদেশ। ১১৬-র আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল কংগ্রেস ও বিজেপির আসন সংখ্যা। কখনও এ এগিয়েছে তো কখনও অন্যজন। হাত, পদ্মের এই কঠিন লড়াই উপভোগও করছিলেন সকলে। যদিও এই ২ দলই তখন দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছে। অন্য জয়ী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলাও শুরু করে ২ পক্ষের নেতৃত্ব। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। তবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেসই। তাদের ঝুলিতে এসেছে ১১৩টি আসন। ম্যাজিক ফিগার থেকে ৩টি আসন দূরে। অর্থাৎ তাদের সরকার গড়তে দরকার অন্য দলের ৩ জন বিধায়কের সমর্থন। যারমধ্যে সমাজবাদী পার্টি ঘোষণাই করে দিয়েছে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে থাকছে। বিএসপি জানিয়েছে তারা আর যাই হোক বিজেপিকে সঙ্গ দেবে না।
ফলে যা পরিস্থিতি তাতে কংগ্রেসের সরকার গড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বিজেপিকে সেক্ষেত্রে হয়তো ক্ষমতা থেকে সরে বসতে হবে বিরোধী আসনে। তবে বিজেপির সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত ১০৯ আসন। কংগ্রেস সরকার গড়তে না পারলে তাদের ডাক আসবে। সেক্ষেত্রে তাদের আরও ৭ বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করতে হবে। সেটা সময় বলবে। কিন্তু যেভাবে হাতের মুঠোয় থাকা মধ্যপ্রদেশও বিজেপির হাত ছাড়া হচ্ছে তাতে কিন্তু সার্বিকভাবে তাদের গোবলয়ে ভোট অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। যা ২০১৯-এর আগে গেরুয়া শিবিরের জন্য ভাল খবর নয়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)