ক্রমশ বেড়ে চলেছিল ঋণের বোঝা। অথচ তা শোধ করার কোনও রাস্তা বার হচ্ছিল না। ঋণ শোধের চাপও ছিল। এভাবে ক্রমশ বাড়তে থাকা ঋণের চাপ তাঁকে মানসিক অবসাদে জর্জরিত করে তুলছিল। ঋণ শোধের আর কোনও রাস্তা নেই বুঝতে পেরে অবশেষে চরম পথ বেছে নিলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার কুঁয়ারনগরের বাসিন্দা বাবু লাল।
বুধবার মধ্যরাতে স্ত্রী ববিতার মাথা ভারী বস্তু দিয়ে থেঁতলে দেন বাবু লাল। মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর মেয়ের গলা টিপে ধরেন। মেয়ের দেহ স্থির হয়ে গেলে চাদর দিয়ে একটি ফাঁস বানান বাবু লাল। তারপর সেই ফাঁসে সিলিং থেকে ঝুলে আত্মঘাতী হন। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশিরা ডাকাডাকি করলে বাবু লালের মেয়ে তাঁদের সব খুলে বলে। আগের রাতে কী হয়েছিল তা পুলিশের কাছেও সবিস্তারে জানায় ওই কিশোরী। তার বাবা তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করলে জ্ঞান হারিয়েছিল সে। তার অচেতন দেহ দেখে বাবু লাল নিশ্চিত হন মেয়েও মারা গিয়েছে। তারপর তিনি আত্মঘাতী হন। এদিকে পরে জ্ঞান ফেরে মেয়ের।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)