যাঁরা বারবার টাকা বদলানোর লাইনে দাঁড়িয়ে পুরোনো নোট দিয়ে নতুন নোট নিচ্ছিলেন তাঁদের আর সেই সুযোগ দেবে না ব্যাঙ্ক। এবার থেকে টাকা বদলালে ভোটের মতই আঙুলে লাগিয়ে দেওয়া হবে কালি। যে কালির দাগ তখনই মুছে ফেলা অসম্ভব। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব শক্তিকান্ত দাস একথা জানিয়ে বলেন, দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি বারবার লাইন দিচ্ছেন। ফলে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। বহু সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। তাই এবার থেকে নোট বদলের পর লাগিয়ে দেওয়া হবে কালি। এতে ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় অনেকটা কমবে বলেও মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি শক্তিকান্তবাবু বলেন, জনধন যোজনার অন্তর্গত দেশের বহু জিরো ব্যাল্যান্স অ্যাকাউন্ট এতদিন খালি পড়ে ছিল। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোথাও ২ লক্ষ কোথাও আড়াই লক্ষ টাকা করে পড়েছে। যদি সেই টাকা ওই ব্যক্তির অর্জিত অর্থ হয় তাহলে তাঁর চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু কেউ যদি অন্য কারও কালো টাকা সাদা করার জন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেন তাহলে সেদিকে কড়া নজর থাকবে। পুরো তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা খুচরো সমস্যার সুরাহা খুঁজতে এবার মন্দিরের প্রণামী বাক্সের দিকে নজর দিয়েছে কেন্দ্র। মন্দির কমিটি বা ট্রাস্টগুলির কাছে প্রণামী বাক্সে পড়া খুচরো টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার অবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। তাতে খুচরো সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে বলে মনে করছে তারা। এদিকে টাকা বদলালেই হাতে কালি লাগানোর কথা সামনে আসতেই ফের মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন ট্যুইটারে দাবি করেন, এর থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল কেন্দ্র দেশের সাধারণ মানুষকে অবিশ্বাস করে। সামনে উপনির্বাচন। টাকা বদলাতে গিয়ে হাতে কালির দাগ পড়লে ভোটারদের হাতেও তা থাকবে। অথবা ভোট দিলে হাতে কালির দাগ পড়বে। তারপর ব্যাঙ্কে টাকা বদলাতে গেলে সমস্যায় পড়বেন গ্রাহকরা। এবার তাহলে সেই দাগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কী করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।