১৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সেই নির্দেশ সামনে আসার পর দলের ৩ বারের সাংসদকে নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়ে কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেসকে বিড়ম্বনামুক্ত করে নিজেই দল ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। তিনি দল থেকেই পদত্যাগের চিঠি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়েও দেন। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, রাহুল গান্ধী সজ্জন কুমারের সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন। এদিন রাহুল গান্ধী সাংবাদিক সম্মেলন করলেও জানিয়ে দেন তিনি সজ্জন কুমার নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।
বর্হিদিল্লি কেন্দ্র থেকে ৩ বার কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হয়েছেন সজ্জন কুমার। কিন্তু তাঁর নাম শিখ বিরোধী হিংসায় জড়ানোয় তাঁকে ২০০৯ সালে টিকিট দিতে অস্বীকার করে দল। ২০০৯-এর পর থেকে সজ্জন কুমারকে দল কার্যত সাইড করে দেয়। এদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ সামনে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি সজ্জন কুমার। তবে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)