গত বুধবার বিকেল ৫টা। মহারাষ্ট্রের বিদের তালগাঁও এলাকার আদিত্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ক্লাস সেরে বার হন সুমিত শিবাজি ওয়াঘরে ও তাঁর স্ত্রী ভাগ্যশ্রী। এখানে পড়তে এসেই প্রেম। কিন্তু সুমিতকে ভাগ্যশ্রী বিয়ে করতে চাওয়ায় ভাগ্যশ্রীর বাড়িতে লাগে অশান্তি। এমন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে গোটা বাড়ি বেঁকে বসে। অগত্যা বাড়ির অমতেই মাস দুয়েক আগে ২ জনে বিয়ে করে সুমিতেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন। ওখানে থেকেই পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন। গত বুধবার কলেজ থেকে বার হওয়ার পর কলেজের সামনের রাস্তায় তাঁদের পথ আটকায় ভাগ্যশ্রীর দাদা বালাজি লান্দে ও তার এক বন্ধু।
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুমিত শিবাজিকে রাস্তার ওপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে ভাগ্যশ্রীর দাদা বালাজি ও তার বন্ধু। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সুমিত। সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন ভাগ্যশ্রী। এদিকে সুমিতকে কোপানের পর সেখানে থেকে দ্রুত একটি গাড়িতে চড়ে চম্পট দেয় ২ জনে। কয়েকজন অটোচালক সুমিতকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনায় শোকস্তব্ধ ভাগ্যশ্রী জানান, তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। এটাই কী তাঁর অপরাধ? ভাগ্যশ্রী সাফ জানিয়েছেন, হয় পুলিশ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুক। নয়তো তিনিও নিজেও নিজেকে শেষ করে দেবেন। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)