১০টি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা ও তদন্তকারী সংস্থা ও দিল্লি পুলিশকে এক বিশেষ অধিকার দিল কেন্দ্র। তারা চাইলে দেশের যে কারও কম্পিউটারকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে, কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারে বা দরকারে কোনও এনক্রিপ্ট তথ্যকে ডিক্রিপ্ট করে দেখতে পারে। এই ঘোষণার পরই একযোগে এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি।
এই সিদ্ধান্তকে সরাসরি মৌলিক অধিকারে ধাক্কা বলে ব্যাখ্যা করছেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার দাবি, এই সিদ্ধান্তের পর ভারত একটি নজরদারি রাষ্ট্রের চেহারা নিল। যেখানে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার। এটা মৌলিক অধিকারের পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়।
কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্যুইটে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, যদি এই সিদ্ধান্ত জাতীয় সুরক্ষাকে সামনে রেখে হয়, তবে তো তার জন্য কেন্দ্রের হাতে অন্য পন্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে খারাপ আইন বলে ব্যাখ্যা করে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত চেয়েছেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টি এই সিদ্ধান্তকে একনায়কতন্ত্রের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করেছে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ট্যুইটে জানিয়েছেন, কেন সব ভারতীয়কে অপরাধীর মত দেখা হবে? সরকারের সকলের বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছেন তিনি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)