লক্ষ্মণকে ভালবাসত অনুরাধা। একই গ্রামে বাস। একই সঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। ভালবাসাটাও ছিল প্রগাঢ়। কিন্তু এই ২ তরুণ-তরুণীর বিয়েতে প্রবল আপত্তি ছিল অনুরাধার বাড়ির। নিচু জাতের ছেলের সঙ্গে তারা মেয়ের বিয়ে দিতে কোনওভাবেই রাজি হচ্ছিল না। অগত্যা অনুরাধা ও লক্ষ্মণ গ্রাম থেকে পালিয়ে যান হায়দরাবাদে। সেখানে গত ৩ ডিসেম্বর তাঁরা আর্যসমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন। তারপর গত শনিবার নবদম্পতি ফিরে আসেন তেলেঙ্গানার কালামাডুগু গ্রামে। অনুরাধাকে বরণ করে নেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
মেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে একথা অনুরাধার বাবা-মায়ের কানে পৌঁছতে বেশি সময় লাগেনি। পুলিশ জানাচ্ছে, গত শনিবার রাতেই কয়েকজন আত্মীয়কে সঙ্গে করে গ্রামে লক্ষ্মণের বাড়িতে চড়াও হয় অনুরাধার বাবা-মা। সেখান থেকে মেয়েকে বার করে টানতে টানতে নিয়ে যায় মাল্লাপুর গ্রামে। সেখানে ব্যাপক মারধরের পর মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেয় অনুরাধার বাবা-মা ও আত্মীয়রা। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে অনুরাধার ছাই কাছের একটি নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মণ। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এভাবে মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে অনুরাধার বাবা সাত্তেন্না ও মা লক্ষ্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)