National

সময়সীমার শেষ দিনে দিল্লির আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সজ্জন কুমার

১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করে তাঁরই ২ দেহরক্ষী। ওই ২ জনই ছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। এই ঘটনার পর দিল্লি সহ আশপাশের এলাকা জুড়ে শুরু হয় শিখ নিধন। শিখদের ওপর নেমে আসে আক্রমণ। সেই শিখ বিরোধী হিংসায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের নাম জড়ায়। সেই ঘটনায় অবশেষে গত ১৭ ডিসেম্বর ৩৪ বছর পর সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার রাজ নগরের বাসিন্দা এক শিখ পরিবারের ৫ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ ছিল। হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেয় সজ্জন কুমারকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। পরে সেই সময়সীমা ১ মাস আরও বাড়ানোর আর্জি সজ্জন কুমারের তরফে জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। তারপর এদিন ছিল আদালতে আত্মসমর্পণের শেষ দিন। বছর শেষের দিন সজ্জন কুমার আদালতের নির্দেশ মেনেই দিল্লির কারকারদুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এক সময়ের কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের সঙ্গে এই ঘটনাকে সামনে রেখে চলা মামলার জেরে ২০০৯ থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে কংগ্রেসের। ১৭ ডিসেম্বর কারাদণ্ডের নির্দেশ সামনে আসার পর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে তাঁর দল। ফলে তার পরদিনই কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকে নিজেই পদত্যাগ করেন সজ্জন। কিছুটা হলেও বিড়ম্বনামুক্ত হয় কংগ্রেস।


(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button