সবরিমালা মন্দিরে শেষ পর্যন্ত প্রবেশ করলেন ২ মহিলা। বিন্দু এবং কনক দুর্গা নামে ওই ২ মহিলা রাত সাড়ে তিনটেয় সাদা পোশাকের পুলিশের সুরক্ষা বলয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন। সেখানে বিগ্রহ দর্শন করেন। এই ঘটনা যে ঘটেছে তা মেনে নিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ রীতিগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রায় দিয়েছে সব বয়সের মহিলাদেরই ওই মন্দিরে প্রবেশের অধিকার আছে। তারপর থেকে বারবার চেষ্টা হলেও কোনও মহিলা ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রবল বাধার মুখে তাঁদের ফেরত যেতে হয়। এদিন ২ মহিলা প্রবেশ করার ঘটনা সামনে আসার পরই মন্দিরের প্রধান তন্ত্রী সকলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে স্থির হয় যে মন্দির শুদ্ধিকরণ না করে সেখানে আর পূজা অর্চনা হবে না। এদিন বেলা সাড়ে ১০টায় মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়। ভিতরে শুদ্ধিকরণ হয়। প্রায় একঘণ্টা পর ফের খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। একদিকে মন্দিরে অবশেষে ২ মহিলার প্রবেশ নিয়ে যেমন একটি মহল খুশি, তেমনই সুপ্রিম নির্দেশের পরও যাঁরা মহিলাদের ঢুকতে দিচ্ছিলেন না তাঁরা বেজায় চটেছেন।
কেরালার সবরিমালা মন্দিরে যে কোনও বয়সের মহিলার প্রবেশে ছাড়পত্র দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন ভক্তদের একাংশ। তাঁদের দাবি যে রীতি সেখানে চলে আসছে তা চলতে দিতে হবে। প্রসঙ্গত সবরিমালা মন্দিরের নিয়ম হল ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও নারী ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেননা। যুক্তি হল ওই বয়সের মহিলারা রজঃস্বলা হন। তাই ওই মন্দিরে তাঁদের প্রবেশ নিষেধ। এই রীতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে। মামলায় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় কোনও মহিলাকে সবরিমালায় প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না। সুপ্রিম নির্দেশের পর ওই বয়সের মহিলারা বারবার মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা চালালেও তাঁরা সফল হননি। বিরোধের মুখে তাঁদের ফেরত যেতে হয়। অবশেষে ২০১৯-এর শুরুতে তা সম্ভব হল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)