দ্বিতীয় দিনে পা রাখার পর ধরে নেওয়া হয় বন্ধের ধার কমে। দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের মত জোরদার বন্ধ হয়না। মানুষ একদিন বাড়িতে কাটানোর পর দ্বিতীয় দিনও কর্মহীন ভাবে বাড়িতে কাটানো পছন্দ করেননা। কিন্তু দেশের একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরালায় বুধবারও বন্ধ কার্যত সর্বাত্মক। কেরালার রাস্তায় এদিন সরকারি বাস ছিলনা। প্রায় ছিলনা অটো। হাতে গোনা কয়েকটা অটো বিভিন্ন শহরে ঘুরতে দেখা গেছে। কেরালা জুড়ে অবশ্য বেসরকারি পরিবহণ দেখতে পাওয়া গেছে। তবে মঙ্গলবার যেমন সব দোকানপাটও বন্ধ ছিল, বুধবার তা হয়নি। কিছু দোকানপাট এদিন ঝাঁপ খোলে। বিজেপি-র শ্রমিক সংগঠন বাদ দিয়ে সব শ্রমিক সংগঠনই এদিন বন্ধ পালন করেছে। ফলে কাজ হয়েছে নামমাত্র।
শবরীমালা মন্দিরে পুণ্যার্থীদের যাওয়ার ওপর যদিও কোনও বন্ধ নেই। তবু পুণ্যার্থীদের সংখ্যা এদিন ছিল তুলনায় নগণ্য। ব্যাঙ্কে প্রায় কাজ হয়নি। সরকারি দফতরগুলিতেও কাজকর্ম হয়নি বললেই ভাল। এছাড়া এদিন রাজ্য জুড়ে রেল ও সড়ক অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। ফলে যেটুকু মানুষ কাজে কর্মে রাস্তায় বার হয়েছিলেন তাঁরাও চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)