লোকসভায় সহজে পাশ হওয়ার পর গত বুধবার রাত পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন চলে। কারণ ছিল একটাই। রাজ্যসভায় আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য চাকরি ও শিক্ষায় ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ। যা রাতের দিকে পাশ হয়েও যায়। কিন্তু সংসদের ২ কক্ষ থেকে বিলটি পাশ করানোর পরও তা পড়ল চ্যালেঞ্জের মুখে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা দেয় দিল্লির একটি এনজিও ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি।
ওই এনজিও-র দাবি, এই সংবিধান সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক গঠন বিনষ্ট করবে। তাদের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের উল্লেখ করে তারা। ১৯৯২ সালে ইন্দিরা সোয়নি মামলায় সুপ্রিম কোর্টই জানিয়ে দিয়েছিল যে অর্থনৈতিক বিষয় কখনই সংবিধানে স্বীকৃত কোনও সংরক্ষণের একমাত্র ভিত্তি হতে পারেনা। তাছাড়া তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টই ৫০ শতাংশ সর্বাধিক সংরক্ষণের কথা জানিয়েছিল। উচ্চবর্ণের এই সংরক্ষণ সেই উর্ধ্বসীমাও লঙ্ঘন করছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)