একেবারে যেন হিন্দি সিনেমা। অনেকে হিন্দি সিনেমার গল্প দেখে গাঁজাখুরি বলে সমালোচনা করেন। তাঁরা কী বলবেন বাস্তবের এই কাহিনিকে? ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির দ্বারকায় তার ফ্ল্যাটেই ভাইপোকে খুন করে সম্পর্কে কাকা বিজয় কুমার মহারাণা। ৩৭ বছরের মহারাণা একটি কল সেন্টারে এইচআর ম্যানেজারের পদে কর্মরত ছিল। পুলিশ জানাচ্ছে ভাইপোকে খুন করে সে কাছেই বাগানে মাটি খুঁড়ে তাকে পুঁতে ফেলে। তারপর নিজেই গিয়ে ৫ দিন পর ভাইপো জয় প্রকাশ হারিয়ে গেছে বলে জানিয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে আসে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও তার কোনও হদিস পায়নি।
এভাবে কেটে গেছে আড়াই বছরের ওপর। গত বছরের অক্টোবরে ওই বাগানেই কিছু কাজ শুরু হয়। ফলে মাটি খোঁড়ার দরকার পড়ে। শ্রমিকরা কাজে নেমে মাটি খুঁড়তে মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে একটি কঙ্কাল। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। জানা যায় ওটি জয় প্রকাশের কঙ্কাল। এরপর তদন্ত চালিয়ে অবশেষে ভাইপোকে খুনের অভিযোগে মহারাণাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু কেন ভাইপোকে খুন করতে গেল মহারাণা? পুলিশ জানাচ্ছে এর পিছনে রয়েছে সন্দেহ। কলেজ জীবনে মহারাণা ওড়িশার এক তরুণী প্রিয়াঙ্কার প্রেমে পড়ে যায়। বেশ চলছিল। পরে অবশ্য প্রিয়াঙ্কা উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লি চলে আসেন। কিছুদিন পর চাকরি নিয়ে হায়দরাবাদ ছেড়ে দিল্লি চলে আসে বিজয় কুমার মহারাণা। নতুন করে ২ জনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এর মধ্যেই ২০১৫ সালে দিল্লি আসে মহারাণার ভাইপো জয় প্রকাশ। কাকার ফ্ল্যাটেই থাকতে শুরু করে সে। পরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তারও ভাল আলাপ হয়ে যায়। আর এখানেই হয় বিপদ! মহারাণার মনে হতে থাকে তার ভাইপো প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রেম করছে। ফলে তার রাগ চরমে ওঠে। আর সেই সন্দেহের বশেই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাইপোকে হত্যা করে সামনের বাগানে পুঁতে দেয় সে। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ায় বিপদ কেটেছে বলে মনে হলেও শেষ রক্ষা হলনা। মাটি খুঁড়ে বার হওয়া কঙ্কাল ধরিয়ে দিল মহারাণাকে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)