শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও তুষারপাতের খবর নেই। তবু রাজ্যের পাহাড়ি সব শহরই মুখ ঢেকেছে বরফের চাদরে। পুরু সাদা বরফের জেরে সর্বত্রই পারদ তলানিতে ঠেকেছে। অনেক জায়গায় মাইনাসের নিচে পারদ। জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। গাছপালা, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সব ঢেকে গেছে বরফে। হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি শহর সিমলা থেকে কেলং, মানালি থেকে কুলু, সর্বত্রই ছবিটা প্রায় এক।
সিমলাতেই গত শুক্রবারের পর আর তুষারপাত হয়নি। কিন্তু সেই বরফ গলেওনি। এখনও গোটা সিমলা বরফের চাদরে ঢেকে আছে। এদিন সিমলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ০.২ ডিগ্রি। এই অবস্থায় সেখানে পৌঁছনো বা সেখানে থাকার বন্দোবস্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবু সেসব তোয়াক্কা না করেই সিমলা সহ বিভিন্ন শহরের হাজির হয়েছেন বহু পর্যটক।
শনিবার থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। একমাত্র বরফের টানেই ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এসেই মেতে উঠছেন বরফ নিয়ে খেলায়।
হিমাচলের কেলং-এ ঠান্ডার কামড় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। এখানে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৭ ডিগ্রিতে। চারদিক ছেয়ে আছে বরফে। দৃশ্যমানতাও তলানিতে। চারদিক ঝাপসা।
এছাড়া কুফরি, নারকান্দা, মানালি, ডালহৌসি সব জনপ্রিয় পর্যটনস্থলই এখন বরফের তলায়। সব জায়গার পারদই মাইনাসে পৌঁছে গেছে। এই অবস্থায় খুশি বাধ মানছে না পর্যটকদের। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ২৯ জানুয়ারির পর ফের নতুন করে তুষারপাত ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)