বৃহস্পতিবার আরও শোচনীয় চেহারা নিল আন্দামান। এখানে হ্যাভলক ও নীল দ্বীপে প্রায় ১৪০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। একটানা বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্র আর তার সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে তাঁদের সেখান থেকেই উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থার দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেওয়ায় অবস্থা জটিলতর হয়ে উঠেছে। গত বুধবারই হ্যাভলক থেকে পর্যটকদের ফেরাতে সেনাবাহিনীর ৪টি জাহাজ তৈরি রাখা হয়। কিন্তু ঢেউ প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত ওঠায় সেগুলির পক্ষে তীরের দিকে ঘেঁষা সম্ভব হচ্ছেনা। উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের আনতে গেলেও যে কোনও সময়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যদিও পর্যটকরা সকলেই সুরক্ষিত বলে এদিন ট্যুইট করে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পর্যটকদের উদ্বিগ্ন পরিবারকে আশ্বস্ত করে রাজনাথ জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলেই সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে দেবে। সেনার ৪টি জাহাজ উদ্ধারকাজ শুরুর জন্য পোর্ট ব্লেয়ারে অপেক্ষা করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হ্যাভলক বা নীল দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা হোটেলেই আটকে রয়েছেন। তবে পর্যাপ্ত পানীয় জল রয়েছে। খাবারের দাম প্রবল চড়া হলেও খাবার পাওয়া যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগে। তাঁদের আত্মীয়রা ফোনে বা ইন্টারনেটে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না। কদিচ কখনও ফোন লাগলেই খবর নিচ্ছেন তাঁরা। আটকে পড়া পর্যটকরা জানিয়েছেন, খাবার বা জলের সমস্যা না হলেও আতঙ্ক বাড়ছে। অনেক হোটেলের একতলা জলের তলায় চলে গেছে। সমুদ্রের ঢেউ অস্বাভাবিক উঁচু। বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে প্রবল ঝড়। বুধবার রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও কিছু জায়গায় সকালে বিদ্যুৎ ফিরেছে। কিন্তু তাঁরা হোটেলেই আটকে রয়েছেন। এদিকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বহু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পর অবস্থার উন্নতির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।