বেশ কিছুদিন ধরেই ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে তরুণীকে উত্যক্ত করা শুরু করেছিল এক ২৩ বছরের যুবক। অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই বছর ২৪-এর তরুণী। তারপর ৫ জনকে কাজে লাগিয়ে তাকে অপহরণ করে। এরপর তাকে ২টি জায়গায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় পেটানো হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে ছাড়া পেয়েই ওই যুবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে উইপ্রোয় কর্মরত ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই কাজে তাকে সাহায্য করা ৪ জনকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, উইপ্রোয় কর্মরত পুলেরি দিব্যার বান্ধবী প্রভালিকা নিজের বাড়ির কিছু কাজের জন্য পেশায় ছুতোর মিস্ত্রি ভি সাই রাম-কে ফোন করেন দিব্যার ফোন থেকে। সেখান থেকেই দিব্যার ফোন নম্বর পেয়ে যায় সাই রাম। অভিযোগ তারপর থেকেই সে দিব্যাকে ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে জ্বালাতন শুরু করে। এভাবে দিনের পর দিন উত্যক্ত হতে হতে ধৈর্যের বাধ ভাঙে দিব্যার। সে পরিচিত ২ গাড়িচালক, ১ ডিজেল মেকানিক ও ১ সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে কথা বলে একটি ফন্দি আঁটে।
পরিকল্পনামত একটি জায়গায় সাই রামকে আসতে বলে দিব্যা। সে সেখানে হাজির হলেই ওই ৪ জন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বাইকে। তারপর তাকে ২টি ভিন্ন জায়গায় নামানো হয়। সেখানে সাই রামকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ই আহত সাই রাম পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই দিব্যা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপহরণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, কোনও মহিলা সমস্যায় পড়লে পুলিশ স্টেশনে অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের করা উচিত। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া তাঁর কখনই উচিত নয়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)