কলকাতায় শীতের দেখা নেই। কিন্তু উত্তর ভারতে শীত এসেছে সময় ধরেই। উত্তর ভারত জুড়ে বাড়তে থাকা ঠান্ডার পাশাপাশি কামড় বসিয়েছে ঘন কুয়াশা। নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর জানুয়ারিতে দিল্লি সহ উত্তর ভারত কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকে। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি হয় যে পাশে দাঁড়িয়ে অনেক সময়ে পাশের লোককে দেখা যায়না। সকাল হতেই অনেক জায়গায় বেলা ১১টা বেজে যায়। দিল্লিতে বৃহস্পতিবার কুয়াশার চাদর এতটাই পুরু ছিল যে দৃশ্যমানতার সমস্যায় সকালে বিমান চলাচল প্রবলভাবে বিঘ্নিত হয়। একটি বিমান বাতিল হয়। ৬টি আন্তর্জাতিক বিমান ও ৭টি অন্তর্দেশীয় বিমান সঠিক সময়ে ছাড়তে পারেনি। শোচনীয় অবস্থা ট্রেন চলাচলেও। ১১টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৪১টি ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বহু ট্রেন দেরিতে চলছে। ক্রমশ বাড়ছে দেরির সময়। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিল্লি তো বটেই কুয়াশার ভয়ংকর দাপটে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব সহ আশপাশের এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।