২০ বছরে পা দিয়েছিলেন বৈষ্ণবী। ওঙ্গোল শহরে বি কম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এখানে পড়তে এসেই তাঁর এক সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বৈষ্ণবীর। গত ২ বছর ধরে এই সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হয়েছে। প্রথম দিকে বাড়িতে কেউ কিছু না জানলেও তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের কথা বৈষ্ণবীর বাড়িতে ৮ মাস আগে জানাজানি হয়ে যায়। আর তা জানার পর থেকেই অশান্তি শুরু। অন্য জাতের ছেলের সঙ্গে এই সম্পর্ক তাঁরা কিছুতেই মেনে নেবেননা বলে সাফ জানিয়ে দেন বৈষ্ণবীর বাবা-মা। মেয়েকে সতর্কও করেন তাঁরা।
বাবা-মা না চাইলেও ওই তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে এতটুকু চিড় ধরেনি। বরং কিছুটা সিনেমার মতই তাঁরা ঠিক করেন বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে ঘর বাঁধবেন। এমনই এক সোনালি স্বপ্নকে বুকে করে সত্যিই একদিন বাড়ি ছেড়ে পালান বৈষ্ণবী। গত ২ ফেব্রুয়ারি লিঙ্গসমুদ্রম গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের হাত ধরে নিরুদ্দেশের পথে পা বাড়াতে মারকাপুরম পৌঁছন তিনি। কিন্তু কোনওভাবে সে খবর তাঁর বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে যায়। মারকাপুরম থেকে বৈষ্ণবীকে পাকড়াও করে ফের তার গ্রাম কোট্টাপালেমে ফিরিয়ে আনেন তাঁরা।
অন্ধ্রপ্রদেশের এই ছোট্ট গ্রামে বৈষ্ণবীদের ঘরে শুরু হয় বাপ-মেয়ের বাগযুদ্ধ। বাবার সঙ্গে প্রবল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বৈষ্ণবী। ঝগড়াঝাটি চলতেই থাকে। গত সোমবার ঝগড়া চলাকালীন আচমকাই বৈষ্ণবীর গলা টিপে ধরে তাঁর বাবা কে বেঙ্কা রেড্ডি। গলা টিপে সে হত্যা করে মেয়েকে। তারপর ঠান্ডা মাথায় আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের বেঙ্কা রেড্ডি জানায় তার মেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশ বৈষ্ণবীর দেহে অনেকগুলি আঘাতের চিহ্ন পায়। কালশিটের দাগ মেলে তাঁর গলাতেও। এরপরই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশে এই ঘটনা নতুন নয়। পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে হত্যার ঘটনা এই থাল্লুর এলাকাতেই ৪টি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)