তখন রাত। গাড়িতে তাঁর এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে লুধিয়ানার সাউথ সিটি এলাকা থেকে ইসেওয়াল গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ২০ বছরের তরুণী। তাঁর অভিযোগ ঠিক সেই সময় রাস্তায় তাঁদের গাড়ির ওপর চড়াও হয় ২টি মোটরবাইকে চড়ে ৫ যুবক। গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয়। তারপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে গাড়িতে ঢুকে মারধর শুরু হয় তাঁর পুরুষ বন্ধুকে। ওই পুরুষ বন্ধুর ফোন থেকে ফোন করে তাঁরই এক বন্ধুর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকাও চায় দুষ্কৃতিরা। তারপর সেখান থেকে তাদের গাড়ি নিয়ে ২ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি ফার্মহাউসে।
রাতের অন্ধকারে নির্জন ফার্মহাউসে তখন কেউ ছিলনা। প্রথমে তাঁদের মারধর করে দুষ্কৃতিরা। ওই তরুণীর দাবি, তারপর তাঁকে ওই ৫ দুষ্কৃতি গণধর্ষণ করে। এখানেই থামেনি তারা। ওখান থেকে তাদের আরও ৭ সঙ্গীকে ডেকে পাঠায় দুষ্কৃতিরা। তারা দ্রুত সেখানে হাজির হয়। তারপর তারাও তাঁকে একে একে ধর্ষণ করে। ১২ জন যুবকের নৃশংস লালসার শিকার হন ওই তরুণী। রাতভর এই অত্যাচার চলতে থাকে।
রবিবার সকালে তাঁদের ২ জনকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। কোনওক্রমে তাঁরা ওই অবস্থায় পুলিশের কাছে পৌঁছন। ওই তরুণী সবকিছু পুলিশের কাছে খুলে বলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি তারা। যে ফার্মহাউসে রাতভর ১২ জনের আদিম লালসার শিকার হতে হয় ওই তরুণীকে সেই ফার্মহাউসেও যান তদন্তকারীরা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)