লুধিয়ানার একটি ফার্মহাইসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর ২০ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে ১২ জন যুবক। এমনই অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় অভিযুক্তদের খোঁজ। ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ১২ নয়, এই ঘটনায় ৬ যুবক যুক্ত। এই ৬ জনের আদিম লালসার শিকার হন ওই তরুণী। তাদের মধ্যে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বেশ কয়েকটি থানা তাদের এলাকায় খোঁজ চালাচ্ছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ২ জনেই লুধিয়ানার বাসিন্দা। বাকিদেরও দ্রুত নাগাল মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
গত শনিবার রাতে গাড়িতে তাঁর এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে লুধিয়ানার সাউথ সিটি এলাকা থেকে ইসেওয়াল গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ২০ বছরের তরুণী। তাঁর অভিযোগ ঠিক সেই সময় রাস্তায় তাঁদের গাড়ির ওপর চড়াও হয় ২টি মোটরবাইকে চড়ে ৫ যুবক। গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয়। তারপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে গাড়িতে ঢুকে মারধর শুরু হয় তাঁর পুরুষ বন্ধুকে। ওই পুরুষ বন্ধুর ফোন থেকে ফোন করে তাঁরই এক বন্ধুর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকাও চায় দুষ্কৃতিরা। তারপর সেখান থেকে তাঁদের গাড়ি নিয়েই তাঁদের ২ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি ফার্মহাউসে।
রাতের অন্ধকারে নির্জন ফার্মহাউসে তখন কেউ ছিলনা। প্রথমে তাঁদের মারধর করে দুষ্কৃতিরা। ওই তরুণীর দাবি, তারপর তাঁকে ওই দুষ্কৃতিরা গণধর্ষণ করে। এখানেই থামেনি তারা। ওখান থেকে তাদের আরও কয়েকজন সঙ্গীকে ডেকে পাঠায় দুষ্কৃতিরা। তারা দ্রুত সেখানে হাজির হয়। তারপর তারাও তাঁকে একে একে ধর্ষণ করে। ১২ জন যুবকের নৃশংস লালসার শিকার হন ওই তরুণী। রাতভর দফায় দফায় এই অত্যাচার চলতে থাকে তাঁর ওপর।
রবিবার সকালে তাঁদের ২ জনকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। কোনওক্রমে তাঁরা ওই অবস্থায় পুলিশের কাছে পৌঁছন। ওই তরুণী সবকিছু পুলিশের কাছে খুলে বলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে অবশেষে ৪ দিনের মাথায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পঞ্জাব পুলিশ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)