বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে আরও খারাপ হল আন্দামানের আবহাওয়া। ফলে নীল দ্বীপ ও হ্যাভলক দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর ঝড়ের দাপট বাড়ে। অবিরাম বৃষ্টির মাত্রাও তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে। অধিকাংশ হোটেলেরই একতলা জলের তলায় চলে গেছে। পর্যটকদের খাবার ও পানীয় জলের সমস্যা এখনও তৈরি না হলেও এভাবে চলতে থাকলে কতদিন মজুত ভাণ্ডার দিয়ে চলবে তা নিয়ে আশঙ্কায় পর্যটকরা। এদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে হোটেলে গিয়ে জানিয়ে দিয়ে আসা হয়েছে দুর্যোগের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে কেউ যেন হোটেলের ঘর থেকেই না বার হন। ফলে আতঙ্ক নিয়ে কার্যত গৃহবন্দি পর্যটকরা। কিভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি তাতে সেনাবাহিনীও জাহাজ পাঠাতে পারছে না। শুক্রবার সকালে দুর্যোগের মধ্যেই নীল দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনে উদ্ধার আসায় উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই আওয়াজ আকাশেই কিছুক্ষণের মধ্যে মিলিয়ে যায়। অবস্থা আরও কঠিন করে তুলেছে লাগাতার লোডশেডিং আর দুর্যোগের প্রাবল্য। এদিকে আন্দামান সাগরের ওপর অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ভরদা ক্রমশ অন্ধ্র উপকূলের দিকে সরবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এক জায়গায় টানা ৩ দিন দাঁড়িয়ে থেকে শক্তি বাড়ানোর পর এবার ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার করে অন্ধ্রের দিকে এগোনো শুরু করেছে ভরদা। আগামী সোমবার নাগাদ সেটি নেল্লোরের কাছে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। ভরদা আন্দামানের ওপর থেকে সরে গেলে সমুদ্র শান্ত হবে। তখনই পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তার আগে এভাবেই আটকে থাকতে হবে তাঁদের, মত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের।