সরতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়। ফলে এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দামানের ভয়ংকর আবহাওয়া কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে। কমেছে ঝড়। কমেছে বৃষ্টিও। সমুদ্রও তুলনামূলকভাবে অনেকটা শান্ত। বেলার দিকে কয়েকবার রোদেরও ঝলক দেখা গেছে। আগে সেনার তরফে জানানো হয়েই ছিল যে আবহাওয়ার উন্নতি হলেই দ্রুত হ্যাভলক ও নীলদ্বীপ থেক পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু করবে তারা। সেইমত এদিন বেলার দিকে এই দুই দ্বীপের দিকে রওনা দেয় সেনাবাহিনীর ৬টি জাহাজ ও ৩টি হেলিকপ্টার। অন্যদিকে আটকে পড়া পর্যটকদের খুশির খবর শুনিয়ে স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সকলকে ব্যাগপত্র নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসতে বলে। উদ্ধার করা হবে তাঁদের। এই খুশিতে সকলেই যত দ্রুত সম্ভব তৈরি হয়ে গৃহবন্দি দশা থেকে বেরিয়ে পড়েন। কয়েকজনকে নীলদ্বীপ থেকে জাহাজে ও হেলিকপ্টারে উদ্ধারও করা হয়। কিন্তু পর্যটকদের অভিযোগ তা নগণ্য। এখনও বহু পর্যটক হা পিত্যেস করে উদ্ধার হওয়ার অপেক্ষায় ব্যাগ গুছিয়ে মেঘে ঢাকা আকাশের তলায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। এভাবেই বিকেল গড়িয়ে গেলেও উদ্ধারের সংখ্যা নগণ্য। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। বাচ্চা বা বয়স্ক মানুষদের সঙ্গেকরে এভাবে তাঁদের কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।