মহারাষ্ট্র সরকার কথা দিলেও কথা রাখেনি। তাই গত বছরের পর ফের মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে শুরু হয়েছিল কৃষকদের লং মার্চ। বামপন্থী সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার নেতৃত্বে নাসিক থেকে এই মিছিল শুরু হওয়ার পর থেকেই তা বহরে বড় হচ্ছিল। এক একটি গ্রামের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যাচ্ছিল বহু কৃষক এই মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। ফলে ক্রমশ বড় হচ্ছিল মিছিল। ৪০ হাজার কৃষক গত বৃহস্পতিবার একটি গ্রামে হাজির নন। এদিকে ভোটের মুখে কৃষক অসন্তোষের এই লং মার্চ মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলে দেয়। দফায় দফায় মন্ত্রীরা বৈঠক করতে থাকেন কিষাণ সভার নেতাদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্তও অবশ্য সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে অবশেষে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে একটি জায়গায় এসে দাঁড়ান কিষাণ সভার নেতারা। এআইকেএস-এর প্রেসিডেন্ট অশোক ধাওয়ালে জানান, সরকার তাঁদের ১৫ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলি রূপায়িত হবে বলেও সরকার আশ্বাস দিয়েছে। প্রতি ২ মাস অন্তর রিভিউ বৈঠকও হবে। এই অবস্থায় সরকার কী বলতে চায় তা রাতেই কৃষকদের জমায়েতের সামনে মহারাষ্ট্র সরকারের ২ মন্ত্রীকে পরিস্কার করতে বলেন এআইকেএস নেতারা। রাতে কৃষকদের সামনে সরকারের বক্তব্য পরিস্কার করেন মন্ত্রীরা।
সব কিছু পর রাত দেড়টা নাগাদ মুম্বইগামী এই লং মার্চ স্থগিত করা হয়। খরায় সুবিধা দান, সেচ ও জল, জঙ্গলের অধিকার আইন বলবত, বৃদ্ধ কৃষকদের পেনশন বৃদ্ধি সহ ১৫ দফা দাবিতে এই লং মার্চ হচ্ছিল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)