মুম্বইয়ের মালাড ওয়েস্টের বাসিন্দা রঙ্গোলী প্যাটেল। ২৩ বছরের এই তরুণী গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে তুলকালাম বাঁধিয়ে ছাড়লেন। যদিও তাঁর ছেলেমানুষির জন্য আপাতত তাঁর স্থান হয়েছে গারদের পিছনে। একাধিক ধারায় অভিযুক্ত হয়ে আপাতত বেজায় ফাঁপরে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কী হয়েছে ঘটনাটি? যা হয়েছে তা অনেকটা গল্পের মত। পুলিশ জানাচ্ছে, রঙ্গোলী গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে। সেখানে রেস্তোরাঁর ওয়েটারের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সূত্রপাত।
এই কথা কাটাকাটি মেনে নিতে পারেননি রঙ্গোলী। হোটেলের মালিকের যাতে আর্থিক ক্ষতি হয় সেজন্য একটা ফন্দি আঁটেন তিনি। ওই রেস্তোরাঁয় ফোন করে জানান রেস্তোরাঁয় বোমা আছে। এখুনি ওই রেস্তোরাঁ ফাঁকা করে দেওয়া উচিত। স্বাভাবিকভাবেই এমন ফোনের পর আতঙ্ক ছড়ায়। রেস্তোরাঁ ফাঁকা করে দেওয়া হয়। খবর যায় পুলিশে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডে। দ্রুত তাঁরা সেখানে হাজির হন। শুরু হয় বোমার খোঁজ। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর তাঁরা নিশ্চিত হন এটা কোনও ভুয়ো ফোন ছিল।
কে ভুয়ো ফোন করে এমন কাণ্ড ঘটাল? পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আর তদন্তে নেমে তারা দেখে গোয়ার সমুদ্রতটের গ্রাম কালানগুটের একটি হোটেল থেকে ফোনটি আসে। সেখান থেকেই রঙ্গোলীকে গ্রেফতার করে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, রঙ্গোলী তাদের কাছে স্বীকারও করেছেন যে রেস্তোরাঁ মালিককে শিক্ষা দিতেই তাঁর এই ভুয়ো ফোন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)